স্বপ্নগুলো বেঁচে থাকুক~
ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষায়
থেকো না,
সময়ের নজরদারী খুব !
বরং চলে যেও
পিছু ফিরে নাই-বা তাকালে !
তবু স্বপ্নগুলো বেঁচে থাকুক
না ফেরার যন্ত্রনা থেকে ।
ডেকো না আমায়
ডেকো না আমায়
অলস দুপুরে
অগ্নিপথ জুড়ে বিশাখা বসে আছে ।
প্রচণ্ড পিপাসায় একফোঁটা জল
কামনা করেছি কত চৈত্রের কাছে,
দেয়নি তো !
তবুও দেখো কিভাবে এ বুক থেকে
বেড়ে উঠছে নরম ধানের শীষ ।
ফাল্গুনে যে বকুল চারাটি লাগিয়েছি
তার থেকে কতটি নতুন পাতা এলো
হিসাব করে রাখছি প্রতি সন্ধ্যায় ।
ওদিকে পুকুরের জল কমে আসছে ব'লে
কতক সময় বসে বসে দেখছি মাছদের ছুটোছুটি ।
প্রতি রাতে গোধূলির স্মৃতিগুলো ভেসে ওঠে
তা তা থৈ থৈ ঘুঙুরের শব্দ শুনে শুনে চোখে ঘুম আসে ।
এত্তসব ছেড়ে কিভাবে আসি বলো ?
আমার আয়েশি যৌবন এখন কত্ত কী ভাবে !
তপ্ত দুপুর ও ঈশ্বর~
ভুল ভাবনায় রাতগুলো কেটে যাচ্ছে,
দু' একটা ডাহুক ডেকে যায় অনবরত ।
অনর্থ প্রেম জেগে ওঠে
দিঘী জলে মাছরাঙা অনাহারী;
চোখের দৃষ্টিতে অনুগামী হই ।
হে মাছরাঙা, ঈশ্বর বুঝি আজ কেঁদে মরবে
তপ্ত দুপুরে ।
যে গন্ধে মগ্নতা আসে ~
একমুঠো মাটি হাতে তুলে নিয়ে গন্ধ শুঁকি-
কৃষকের ঘামে ভেজা নোনা স্বাদ লেগে আছে তায় ;
আবারও গন্ধ শুঁকি-
যদি ভুল থেকে থাকে আমার নাসারন্ধ্রে ।
না ।
আমার প্রসূতি মায়ের ঘরে
ভুমিষ্ট হওয়ার পর
যে সৌরভে আচ্ছন্ন ছিলাম তাই ভেসে ওঠে,
তপ্ত রোদ্দুরে অথবা
দিগন্ত ছুঁয়ে আসা সবুজ প্রান্তরে ।
একমুঠো মাটি হাতে তুলে নিয়ে গন্ধ শুঁকি-
আমি এক পৃথিবী ভুলে যাই ;
সাইবার, গিরিখাত, বিষুভিয়াস-
অথবা চন্দ্রপৃষ্টে আরোহিত নভোচারী ।
না, কিচ্ছু মনে রাখার দরকার নেই আমার ।
শুধু একমুঠো মাটি হতে তুলে নিয়ে গন্ধ শুঁকি-
শিহরিত সমস্ত শরীরে মগ্নতা নেমে আসে
প্রেমালু আবেশে হারাই আমি;
এবং
আমার অস্তিত্ব জুড়ে
মাটির গন্ধ ভাসে ।
কবিগুরুর জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ :-
কবি শ্রেষ্ট~
তোমার বারিধারা ছড়িয়ে দিলে তুমি
বিশ্ব সভার মাঝে,
সবার মাঝে তুমি'ই প্রথম ছিলে-
যেন সকাল বেলার উদিত রবী ;
সবার দোরে পৌঁছে দিলে তুমি
...........তোমার লেখনী ।
কি যেন সুরে ডাক দিয়েছিলে
তোমার বাঁশরী মাঝে,
তাই তো বিশ্ব এখনও তোমাকে
পেতে চায় কাছে ।
তুমি বার বার ফিরে এসো
কবি শ্রেষ্ট রবীন্দ্র হয়ে ।
হরিশঙ্কর রায়
কৃষ্ণকুঞ্জ, রংপুর ॥
ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষায়
থেকো না,
সময়ের নজরদারী খুব !
বরং চলে যেও
পিছু ফিরে নাই-বা তাকালে !
তবু স্বপ্নগুলো বেঁচে থাকুক
না ফেরার যন্ত্রনা থেকে ।
ডেকো না আমায়
ডেকো না আমায়
অলস দুপুরে
অগ্নিপথ জুড়ে বিশাখা বসে আছে ।
প্রচণ্ড পিপাসায় একফোঁটা জল
কামনা করেছি কত চৈত্রের কাছে,
দেয়নি তো !
তবুও দেখো কিভাবে এ বুক থেকে
বেড়ে উঠছে নরম ধানের শীষ ।
ফাল্গুনে যে বকুল চারাটি লাগিয়েছি
তার থেকে কতটি নতুন পাতা এলো
হিসাব করে রাখছি প্রতি সন্ধ্যায় ।
ওদিকে পুকুরের জল কমে আসছে ব'লে
কতক সময় বসে বসে দেখছি মাছদের ছুটোছুটি ।
প্রতি রাতে গোধূলির স্মৃতিগুলো ভেসে ওঠে
তা তা থৈ থৈ ঘুঙুরের শব্দ শুনে শুনে চোখে ঘুম আসে ।
এত্তসব ছেড়ে কিভাবে আসি বলো ?
আমার আয়েশি যৌবন এখন কত্ত কী ভাবে !
তপ্ত দুপুর ও ঈশ্বর~
ভুল ভাবনায় রাতগুলো কেটে যাচ্ছে,
দু' একটা ডাহুক ডেকে যায় অনবরত ।
অনর্থ প্রেম জেগে ওঠে
দিঘী জলে মাছরাঙা অনাহারী;
চোখের দৃষ্টিতে অনুগামী হই ।
হে মাছরাঙা, ঈশ্বর বুঝি আজ কেঁদে মরবে
তপ্ত দুপুরে ।
যে গন্ধে মগ্নতা আসে ~
একমুঠো মাটি হাতে তুলে নিয়ে গন্ধ শুঁকি-
কৃষকের ঘামে ভেজা নোনা স্বাদ লেগে আছে তায় ;
আবারও গন্ধ শুঁকি-
যদি ভুল থেকে থাকে আমার নাসারন্ধ্রে ।
না ।
আমার প্রসূতি মায়ের ঘরে
ভুমিষ্ট হওয়ার পর
যে সৌরভে আচ্ছন্ন ছিলাম তাই ভেসে ওঠে,
তপ্ত রোদ্দুরে অথবা
দিগন্ত ছুঁয়ে আসা সবুজ প্রান্তরে ।
একমুঠো মাটি হাতে তুলে নিয়ে গন্ধ শুঁকি-
আমি এক পৃথিবী ভুলে যাই ;
সাইবার, গিরিখাত, বিষুভিয়াস-
অথবা চন্দ্রপৃষ্টে আরোহিত নভোচারী ।
না, কিচ্ছু মনে রাখার দরকার নেই আমার ।
শুধু একমুঠো মাটি হতে তুলে নিয়ে গন্ধ শুঁকি-
শিহরিত সমস্ত শরীরে মগ্নতা নেমে আসে
প্রেমালু আবেশে হারাই আমি;
এবং
আমার অস্তিত্ব জুড়ে
মাটির গন্ধ ভাসে ।
কবিগুরুর জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ :-
কবি শ্রেষ্ট~
তোমার বারিধারা ছড়িয়ে দিলে তুমি
বিশ্ব সভার মাঝে,
সবার মাঝে তুমি'ই প্রথম ছিলে-
যেন সকাল বেলার উদিত রবী ;
সবার দোরে পৌঁছে দিলে তুমি
...........তোমার লেখনী ।
কি যেন সুরে ডাক দিয়েছিলে
তোমার বাঁশরী মাঝে,
তাই তো বিশ্ব এখনও তোমাকে
পেতে চায় কাছে ।
তুমি বার বার ফিরে এসো
কবি শ্রেষ্ট রবীন্দ্র হয়ে ।
হরিশঙ্কর রায়
কৃষ্ণকুঞ্জ, রংপুর ॥
No comments:
Post a Comment